স্টাফ রিপোর্টার :- নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের হরিবাড়ি গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ও আজহার মিস্ত্রী গং, ভূমিদস্যু দেলোয়ার এর হাত থেকে রক্ষা পেতে ও পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে স্থানীয় প্রশাসনের নিকট আকুতি জানিয়েছেন ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গত ২৮ শে জানুয়ারি শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর সিরাজুল ইসলামের ঘরের আসবাবপত্র
ও তার প্যারালাইসিস স্ত্রী কে সহ ঘর থেকে বাহির করে দিয়ে তালাবদ্ধ করে রেখেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম ও তার ভাই আজহার মিস্ত্রী জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ
সিরাজুল ইসলাম তাঁর প্যারালাইসিস স্ত্রীকে নিয়ে দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন , সম্প্রতি সিরাজুল ইসলাম জানতে পারেন তার পৈত্রিক সম্পত্তি দেলোয়ার হোসেন থেকে পাবে তাই সে তার সম্পত্তি জন্য স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যান’র নিকট জানান এবং তারা দেলোয়ার ও সিরাজুল কে তাদের জায়গার কাগজপত্র নিয়ে বসার জন্য বলেন এতে দেলোয়ার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার তাদের আসবাবপত্র সহ তাদেরকে জোর করে ঘর থেকে বাহির করে দিয়ে তালাবদ্ধ করে দেন । এসময় দেলোয়ার হোসেন তাদের রান্না করা খাবারগুলো ও ফেলে দেন যার কারণে সিরাজুল ইসলাম ও তার অসুস্থ স্ত্রীকে দিনভর না খেয়ে থাকতে হয়। দেলোয়ার হোসেন এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে যাওয়ার সময় তাদেরকে বলে যায় তারা যদি মাগরিবের আগে তাদের আসবাবপত্র নিয়ে এই জায়গা ত্যাগ না করে তাহলে সকল কিছুতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হবে।
সাংবাদিকরা এ ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সিরাজুল ইসলাম তার ভাই আজহার মিস্ত্রী ও অসুস্থ স্ত্রী বিলাপ করে কান্না করেন এবং বলেন আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি যা আমার বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী সুর বানু থেকে দেলোয়ার হোসেন ভিন্ন কৌশলে জায়গা কিনে সমস্ত জায়গা দখল করে রেখেছেন । আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট ও স্থানীয় প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমাদের কি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।
এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ও সাবেক মেম্বার ইয়া নবি মেম্বারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং এ বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে দেলোয়ারের কাছে থাকা কাগজপত্র ও সিরাজুল ইসলাম এর কাগজপত্র নিয়ে বসার আহ্বান জানিয়েছি।
মুছাপুর ইউপির ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মনজুর আলম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে আমি আমার নেতৃত্বে গ্রাম্য সালিশে বসেছিলাম এবং কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখেছি এখানে সিরাজুল ইসলামের জায়গা আছে তাই আমি দেলোয়ারের কাছে অনুরোধ করেছিলাম যেহেতু সিরাজুল ইসলাম একজন অসহায় মানুষ তাকে হয়রানি না করে তার সম্পত্তি ফিরিয়ে দিতে। এরপর দেলোয়ার হোসেন আমার কাছে এসেছিলেন এবং বলেছিলেন তিনি সিরাজুল ইসলাম গং দের থেকে জায়গাটি কিনে নিবেন , তারপর আর আমার সাথে কোন যোগাযোগ করেনি এরপর শুক্রবার যে ঘটনা ঘটিয়েছে এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা যা প্রকাশ করার মতো না বাংলাদেশের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়েছেন , আমি একজন ইউপি সদস্য হিসেবে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।