সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সিদ্ধিরগঞ্জের ১নম্বর ওয়ার্ডের মিজমিজি বাতানপাড়া, রহমতনগর, আল-আমিন নগর এলাকার আতংকের নাম নুরুউদ্দিন নুরু ও শীমান্ত হেলাল ওরফে বিল্লাল। এদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদকের একাধিক মামলা থাকলেও এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে দিব্বী। সন্ধ্যার হলেই শুরু হয় তাদের অপারেশন। নুরুউদ্দিন নুরু ও বিল্লাল নিজেদের পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে তাফালিংক করে আসছে। এদের টার্গেট আদমজী ইপিজেটের গার্মেন্টের নারী-পুরুষ শ্রমিক। সন্ধ্যার পর কোন ছেলে-মেয়েদের এক সাথে দেখলেই নজর পড়ে তাদের। পরে তাদের বিভিন্নভাবে ফাদ পেতে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। নুরুউদ্দিন নুরু বিএনপির নেতা আব্দুল হাই রাজুর ভাতিজা হলেও অনেকটা দাপটের সাথে দাবরিয়ে বেড়ান নাসিক ১নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা। মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার ও নারী-পুরুষদের ব্লাগ মেইলিং করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় তাদের মূল পেশা। কেউ তাদের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করলেই পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে থাকে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এছাড়াও যারা দেশের অন্য জেলা থেকে মিজমিজি বাতানপাড়া, রহমতনগর, আল-আমিন নগর এলাকায় এসে বাড়ি করেছেন তাদের বাড়ি ঘর নির্মান করার সময় মালামাল জোর পূর্বেক সরবরাহ করার হুমকী ধমকী দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী অভিযোগে জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কথিত সোর্স একাধিক মামলার আসামী সোর্স শুভ’র সাথে নুরুউদ্দিন নুরু ও শীমান্ত হেলাল ওরফে বিল্লালের রয়েছে গভীর সখ্য। যার কারণে তাদের মাদক ব্যবসা করতে কোন সমস্যায় পড়তে হয় না। সোর্স শুভ’র কারণ পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানের খবর আগেই পেয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ীরা। ফলে পুলিশের অভিযানের খবর পেলেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। আর অভিযান শেষ হলে পুনঃরায় এলাকায় ফিরে আসে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মশিউর রহমান পিপিএম জানান, মাদক সেবী বা মাদক ব্যবসায়ী কোন অপরাধীদের স্থান সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় হবে না। অপরাধীদের থাকার স্থান জেল খানা। কারো কোন অভিযোগ থাকলে স্থানীয় বিট পুলিশিং কার্যালয় আছে, সেখানে অভিযোগ করতে পারবেন। আমরা তদন্ত করে আনানুগ ব্যবস্থা নেবো। সে যে দলের-ই হোক না কেন? ছাড় দেওয়া হবে না।#####